Skip to main content

ব্যাংকের অভিজ্ঞতা

গত পরশুদিন কাজে গুলশানের ৫টি ব্যাংকের ৭টি শাখায় গিয়েছিলাম। তার একটি অভিজ্ঞতা লিখছি।

[নাম উল্লেখ করছি না] একটি ব্যাংকের গুলশান শাখায় ঢুকতেই হেল্পডেস্কে এক তরুণী বসে আছে। আমাদের কথোপকথন –

আমিঃ আপনাদের শাখায় কি ইজিপি টেন্ডারের টাকা জমা নেয়া হয়?
[আমার কথা শেষ না হতেই] হেল্পডেস্কঃ না, আমাদের এখানে এসব নেয়া হয় না।
আমার মনে হলো উনি আমার কথা পরিষ্কার না শুনেই উত্তর দিয়েছেন।
আমিঃ আপনি কি কাইন্ডলি বলবেন, আমি কি জমা দিতে এসেছি, আর কি আপনাদের এখানে নেয়া হয় না।
হেল্পডেস্কঃ আপনি যা জমা দিতে চাইছেন, তা এখানে নেয়া হয় না।
আমিঃ আমি কি জমা দিতে চাইছি।
হেল্পডেস্কঃ আপনি আবার একি প্রস্ন করছেন।

উনি বলতে পারেননি আসলে আমি আমি কি জমা দিতে এসেছিলাম। যোগাযোগ (Communication) এর জন্য পরিষ্কার ভাবে বলা যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি শোনাও গুরুত্বপূর্ণ। আমরা অনেকেই বলতে পছন্দ করি, শুনতে মনোযোগ দেই না।

পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন

আজকের মজার অভিজ্ঞতা। আজ এক পুরনো ক্লাইন্ট তাদের নতুন অফিসে দেখা করতে বলেন। আমি ঠিকানা খুজে, বিল্ডিংয়ের নিচে দারোয়ানকে বললাম, চারতলায় অমুক অফিসে যাবো। দারোয়ান আমাকে লিফট দেখিয়ে বলল, জুতা খুলে লিফটে উঠেন। আমি প্রথমে ভাবলাম ভুল শুনেছি, আবার জিজ্ঞেস করতেই জানতে পারলাম, পুরো বিল্ডিংয়ের কোন অফিস / বাসা/ ফ্ল্যাটে যেতে হলে জুতা বিল্ডিংয়ের নিচেই খুলতে হবে। জীবনে এই প্রথম বিল্ডিংয়ের নিচ থেকে খালি পায়ে লিফটে উঠে চারতলায় ক্লাইন্টের অফিসে দেখা করলাম। সিঁড়ি / লিফট সব পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন দেখলাম। আসলেই পরিচ্ছন্নতার শুরু নিজ থেকেই।

অনলাইন মিটিং শিষ্টাচার

গতকাল ডেনমার্কের এক কোম্পানির ইন্টারন্যাশনাল হেড এর সাথে অনলাইনে মিটিং করলাম। বাংলাদেশে এখনো অনেকে অনলাইনে ফরমাল মীটিংএ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে না, বিশেষত আমাদের ইংলিশ উচ্চারণ সমস্যার কারণে। তবে আমার মনে হয়, ইংলিশ উচ্চারণএর থেকে অনলাইন মীটিংএ জোর দেয়া উচিত, –

  • একজনের কথা শেষ হবার পর অন্যজন কথা বলা, একান্তই যদি বলতে হয় তবে, কথার মাঝে বাধা দেবার জন্য দুঃখ প্রকাশ করা।
  • ঘুরিয়ে পেচিয়ে না বলে, পয়েন্ট টু পয়েন্ট কথা বলা।
  • একটা অনলাইন মীটিংএ, সবার মাথায় সব প্রশ্নের সঠিক উত্তর নাও থাকতে পারে, এজন্য লজ্জা পাবার কিছু নেই, দুঃখ প্রকাশ করে পরে জানানো হবে বলা।

মিথুনের কৃষি উদ্যোগ

মিথুনের সাথে আমার প্রথম পরিচয় ২০০৫ সালের দিকে, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে, আমরা একই আর্ট কোর্সের সহপাঠী ছিলাম। এইত কদিন আগেও আমার গুলশানের অফিসে আড্ডা দিলাম, আমার জন্য নিয়ে এসেছিল ওর আরমানিটোলার উপর ফটোগ্রাফি এক্সিবিশনের ক্যাটালগ। সেই সময় শুনেছিলাম তাদের রাসায়নিক সার ও বিষমুক্ত কৃষি উদ্যোগের কথা। আজ প্রথম আলোতে তাদের উদ্যোগের বিষয়ে একখানা লেখা দেখে ভীষণ ভাল লাগল। ছোটভাই মিথুনের ও সহউদ্যোক্তাদের এ উদ্যোগের শুভকামনা করি। সেইসাথে সবাইকে আমন্ত্রন, গ্রীনারি এগ্রোতে